শহরে পচা মাংসের রমরমা কারবার। মূল চক্রী কউসর আলি পলাতক !

রাজারহাট সিটি সেন্টার টু। আভিজাত্যকে বুঝিয়ে দিতে এই নামটুকুই যথেষ্ট। শহরের অভিজাত এলাকায় একের পর এক ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং, শপিং মল। আর এর ঠিক পিছনেই রমরমিয়ে চলছিল মরা মুরগির মাংসের এলাহি কারবার। নাম “ঢালী চিকেন সেন্টার”।

শুক্রবার সকালে ঢালি চিকেন সেন্টারের কর্মীরা প্রায় ৭০ কেজি মাংস ডেলিভারি দিতে যান “ওয়াইএফসি” নামক একটি রেস্তোরায়। যেখানে কেএফসি-র আদলে ফ্রায়েড চিকেন খাওয়ানো হত। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই প্যাকেটজাত মাংস থেকে খুব দুর্গন্ধ বের হচ্ছিলো। আর সেই কারণেই স্থানীয় বাসিন্দারা বেরিয়ে এসে এক ব্যাক্তিকে আটকে দেন। খবর দেওয়া হয় নিকটবর্তী থানায়। ঘটনাস্থল এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেট এলাকা। পুলিশ এসে পচা মাংস-সহ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। আর তারপরেই সামনে আসে নিউটাউনের ঢালি চিকেন সেন্টারের নাম।

খামারের ভিতরে ঢুকতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তদন্তকারী অফিসারদের। খামারের মধ্যে রয়েছে ৭-৮টি ফ্রিজার। আর তার প্রত্যেকটিতে থরে থরে জমিয়ে রাখা হয়েছে মরা মুরগির পচাগলা মাংস। ফ্রিজার ছাড়াও খামারের যত্রতত্র পড়ে মরা মুরগির দেহ। মরা মুরগি থেকে মাংস কেটে নিয়ে দিনের পর দিন ওই ফ্রিজারে জমিয়ে রেখে তা বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ।

তদন্তকারী অফিসারদের ধারণা, টাটকা মাংসের সঙ্গে এই পচাগলা মাংস মিশিয়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হত কলকাতা, নিউটাউন, বিধাননগরের বিভিন্ন নামীদামী রেস্তরাঁয়। এমনকি সস্তায় হোম ডেলিভারিও করা হত এই পচা মাংস।

ঢালি চিকেন সেন্টারের মালিক কউসর আলি ঢালি পলাতক। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।

Related posts