গুজরাটের হিরে ব্যবসায়ী মহেশ সাবানি প্রতি বছর জাত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ৫০০’র বেশি অসহায় মেয়ের বিয়ে দিয়ে আসছেন নিজের অর্থে। বিয়ের অনুষ্ঠানের সব ব্যয়-ভার বহন করা ছাড়াও তার ‘মেয়ে’ হওয়া সব নববধূর প্রত্যেককেই স্বর্ণালংকার, গহণা, আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক সামগ্রী উপহার দেন তিনি। শুধু তাই নয়, নতুন সংসার গড়তে প্রত্যেক দম্পতিকে ৫ লক্ষ্য করে টাকা করে দেন মহেশ। প্রতি বছরই বিশাল ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে মহেশ নিজেই সব মেয়ের বাবা হিসেবে ‘কন্যাদান’ করেন।

Picture Courtesy AFP / Getty Images
সর্বশেষ অনুষ্ঠানে তিনি ২৫১টি পিতৃহীন মেয়ের বিবাহ দেন। যাদের মধ্যে ছয়জন দম্পতি মুসলিম ছিলেন এবং তিনজন খ্রিস্টান ছিলেন, একজন প্রতিবন্ধী সহ দুইজন এইচআইভি রোগীও ছিলেন। এই গণ বিবাহের আয়োজন করা হয়েছিল শাবানি চৈতন্য বিদ্যা সংকুল (এই স্কুলটির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার পিতা বল্লবভাই শাবানি ) -এ, যেখানে উপস্থিত ছিলেন অনেক বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং সাধু-সন্তরা।
এই কর্মযজ্ঞের শুরুটা হয়েছিল প্রায় ১০ বছর আগে, যখন তার বড়ভাই মারা জান। সদ্য পিতৃহারা ভাইয়ের দুই মেয়ের বিয়েতে ‘কন্যাদান’ করেছিলেন তিনি। তখন তিনি গভীরভাবে অনুভব করেন পিতৃহারা অসহায় মেয়েদের কষ্ট। তিনি বোঝেন এই রকম কত শত শত পিতৃহারা অসহায় মেয়ে রয়েছে তার নিজের রাজ্যেই। যাদের হয়তো বাবা না থাকার অভাবে বিয়ে হচ্ছে না, অসহায় ভাবে কাটছে তাদের জীবন। সেই শুরু, খুঁজে বার করেন এই রকম অসহায় মেয়েদের এবং তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন নিজ উদ্যোগে।
২০০৮ সাল থেকে তিনি নিয়ম করে প্রতি বছর এই গণবিবাহর আয়োজন করে আসছেন। এই গণ বিবাহের অনুষ্ঠানে মহেশ একজন পিতার মতই সমস্ত রকম আচার রীতি মেনে চলেন এবং নিজ হাতে করেন ‘কন্যাদান’। থাকে ভুরি ভোজের বিশাল আয়োজন।

Mass Wedding In Surat Organised By Mahesh Savani
Picture Courtesy Twitter
গত বছর পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩১৭২ অসহায় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন ! আয়োজন করেছেন ২৬১ টি গণ বিবাহ সমারোহ অনুষ্ঠান।
এছাড়াও শহীদ সেনাদের বাচ্চাদের বিনা পয়সায় পড়াশুনার ব্যবস্থা করে দেন মহেশ সাবানি।