ক্যালরির চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে সহজলভ্য ফল কলা। কলা উচ্চ মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর। কলাতে থাকা পটাসিয়াম ডায়েট এর অতিরিক্ত পরিমাণে লবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কলার এই পুষ্টি গুণগুলি আপনাকে দীর্ঘদিন সুস্থ এবং সবল রাখতে সহায়তা করবে। তবে খালি পেটে একেবারেই কলা খাওয়া ঠিক নয়।
ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। খালি পেটে কলা খেলে, রক্তে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। হৃদযন্ত্রের উপরেও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে, এছাড়াও খালি পেটে কলা খেলে অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
মর্নিং সিকনেস কাটাতে কলা খেতে পারেন। এছাড়াও সকালে কলা খেলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি হয়। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তারা অবশ্যই সকালের খাবারে কলা খাবেন।
একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলার মধ্যে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন এর পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে।
কলা খাওয়ার উপকারিতা

Image Courtesy: https://unsplash.com/
ওজনকে নিয়ন্ত্রণ-এ রাখতে : অনেকেই মনে করেন, কলা খেলে ওজন বাড়ে। আর তাই অনেকে ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খাদ্যতালিকা থেকে কলা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু কলা খুবই পুষ্টিকর একটি ফল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কলা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে : কলাতে উপস্থিত প্রচুর পরিমানে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। শুধু তাই নয়, কলা হজমশক্তিও বাড়ায়। প্রতিদিন পেট পরিষ্কার না হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা যায়। এ কারণে যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাদের নিয়ম করে প্রতিদিন অন্তত একটা করে কলা খাওয়া উচিত।
ত্বক এর পরিচর্চায় : বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর কলা আপনার স্বাস্থ্যের সঙ্গে সৌন্দর্যও বাড়াবে। অনেকেই ফেস প্যাক হিসাবে কলা ব্যবহার করেন।